Monday, February 9, 2015

বর্জনীয় নামের তালিকা

No comments:
১. হাবীব: অর্থ প্রেমিক- প্রিয়তম-ডার্লিং। এটা ডাক নাম হিসেবে রাখা বড় এক ধরণের অসতর্কতামূলক কাজ। ব্যাপারটা বিভিন্ন সময় নোংরামী ইঙ্গিত করে। সেই সঙ্গে মাহবুব, আশিক, মাশুক ও বাদ।
২. রমীম: অর্থ গলিত পচা হাড়।
৩. অদিতি: অদ্বিতীয়। পৌরাণিক নাম যার অর্থ ইশ্বর মাতা।
৪. গোলাম/দাস/আবদ: এই জাতীয় নামও বাদ
৫. নবী/রসুল: প্রধান নামের সাথে রাখা যায়। তবে এমন ভাবে যেন কখনই তা ডাক নাম হিসেবে ব্যবহার না হতে পারে।
৬.


Bangla Keyboard

নাম নির্বাচন করবেন যেভাবে?

No comments:
এই পোস্ট টা তাদের জন্যই যারা সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগেন এবং কিছুতেই নিজের সন্তানের নামটি ঠিক করে উঠতে পারছেননা।
ক) নাম নির্বাচনের সময় করনীয়:
১.দেখুন আপনার পছন্দের কোন ইসলামের বুজুর্গ আছে নাকী। আশরাফ আলী (রহ:) এবং সাহাবাদের ভিতর উমর (রা:) ও আলী (রা:) আমার বিশাল লাগে।
২. বন্ধু বান্ধব বা বাবা-মা, চাচা-ফুপু, মামা-খালা বা এই পর্যায়ের অন্য আত্মীয়দের মধ্যে কারও নাম পছন্দ হলে আর অর্থ ভালো হলে তাই রেখে দিন সন্তানের জন্য। দেখবেন প্রতিবার ডাকার সময় প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে ভালো লাগছে।
৩.  সন্তানের নামের সাথে বাবার প্রথমনামটা ভালো হলে অবশ্যই জুড়ে দিন।
৪. কমপক্ষে দুই শব্দের নাম এবং বেশী হলে তিন শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুন।
৫. প্রথম নামটা এক শব্দের কোন সুন্দর নাম দিতে পারেন। নবী মুহাম্মাদ (সা:) এর কোন নাম বা উপাধী নিতে পারেন। আমার নিজের ডাক নাম মুহাম্মাদ। আপনি মুহাম্মাদ বা আহমাদ রাখতে পারেন।
৬. মাঝের নামটা দিন প্রথম নামের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ কিছু।
৭. শেষের নামটা বাবার হলে ভালো হয়। না পারত পক্ষে বংশ যুক্ত করার হাস্যকর প্রচেষ্টা থেকে দূরে থাকুন। কিন্তু খুব ইচ্ছা হলে রাখতে পারেন।
৮. আব্দুল্লাহ এক শব্দ মনে হলেও আসলে কিন্তু এটা দুটো শব্দ। এমন যুক্তশব্দ একটা মনে করে বিশাল নাম তৈরী করবেননা।
খ) নাম নির্বাচনের সময় বর্জনীয়:
১. কখনই বেশী বড় নাম ব্যবহার করবেন না। মাথায় রাখবেন যে এটা আপনার সন্তানকে বহুবার লিখতে হবে। তিন শব্দের নামই সর্বোচ্চ। উপাধী বা বংশ রাখার দরকার নাই। উপাধি সে বড় হয়ে যোগাড় করে নেবে।
২.মুহাম্মাদ কে লেজুড় হিসেবে মো:/মো: এমন লিখবেননা। ইমান ভালবাসা বাড়তি থাকলে পারলে পুরোটাই রেখে দিন। এবং এর সাথে জুড়ে দিন অন্য কোন নাম। তবে মুহাম্মাদ হাফীজুর রাহমান কিন্তু যথেষ্ঠ খাটনির জিনিস। মুহাম্মাদ খুব সুন্দর একটা ডাক নাম এবং হাদীসে এই নাম ব্যবহারের উপর এতো উৎসাহ দেয়া আছে যে এমনও সাহাবী ছিলেন যার চার ছেলের ডাক নামই মুহাম্মাদ। এবং অনেকে এমনও ছিলেন যে নিজের, ছেলের এমনকী নাতীর ডাক নামও রেখেছেন মুহাম্মাদ।
৩. অজানা কোন শব্দ ব্যবহার করুন। কুরআন শরীফে এমন অনেক শব্দ আছে যা নাম হিসেবে রাখলে ইমান থাকেনা। অমুসলিম হয়ে থাকতে হয়। তাই কুরআন শরীফ নিয়ে জুয়া খেলবেন না। কুরআন বন্ধ করে আন্দাজে একটা পৃষ্ঠা খুলে যেটা প্রথম চোখে পড়বে সেটাই নাম এই খেলার জন্য কুরআনের জন্ম দেয়া হয়নি।

গ) সিদ্ধান্ত নিতে বিয়োগ পদ্ধতি ব্যবহার করুন:
১. ঠিক করে নিন কোন কোন জাতীয় নাম আপনি দেবেননা।
২. এবার ঠিক করুন কোন কোন নাম হলে ভালো হয়।
৩. আরেকজনের সাথে পরামর্শ করুন।
৪. একটা ভালো নাম তা যতই কমন হোক না কেন তা ভাল। সুতরাং নামের অর্থ ভালো হলেই হলো। আর কোন ফাজলামীর দরকার নেই। নাম খুজে না পাওয়া পর্যন্ত ছেলে সন্তান মুহাম্মাদ/ আহমাদ/আব্দুল্লাহ/আব্দুর রহমান নামে ডাকতে থাকুন।

Saturday, February 7, 2015

মুসলিমদের ভাল নাম প্রসঙ্গে

No comments:
ভাল একটি নাম অনেক গুরুত্ববহন করে। এটা একটা মানুষের আজীবন বহন করতে হয়। শুরুর নামটা ভাল হলে পরবর্তীতে পরিবর্তন নিয়ে আর কোন ঝামেলায় পড়তে হয়না। যদিও খারাপ নামের থেকে পরিবর্তনের ঝামেলা ভাল কিন্তু তারপরও কেন এই অনাকাঙ্খিত যন্ত্রনায় ভুগতে যাবেন। ভাল একটা নাম পরিবর্তনে বেশী সময়ও লাগেনা। দশ মাস না পেলেও কমপক্ষে পাঁচমাস তো পেতেই পারেন নামের জন্য। অনেকে একটা আনকমন নামের জন্য আকাশ পাতাল তালাশ করে বেড়ায়। কিন্তু আনকমন নাম বড় কথা নয় বড় কথা হলো ভালো নাম। যার অর্থ ভাল এবং শুনতে ভালো।
 
back to top